Breaking News

বীর ডিজিটাল পয়েন্ট সেরা নারী পুরুষ্কার ২০২৩ এ ভূষিত হন কোহিনুর বেগম

নারী উদ্যোক্তা হিসেবে বিশেষ অবদানে স্বীকৃতি স্বরূপ বীর ডিজিটাল পয়েন্ট সেরা নারী পুরুষ্কার ২০২৩ এ ভূষিত হন কোহিনুর বেগম ওনার অফ রূপছায়া বুটিকস এন্ড ট্রেনিং সেন্টার।
বীর ডিজিটাল পয়েন্ট সেরা নারী পুরুষ্কার ২০২৩ এ ভূষিত হন কোহিনুর বেগম

নিজস্ব প্রতিবেদক

সমীকরণ আদর্শ সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বাংলার বীর ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে বীর ডিজিটাল পয়েন্ট সেরা নারী পুরস্কার ‌-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠান গত ৬ই মার্চ রোজ সোমবার বিকাল ৪:৩০টায় অনুষ্ঠিত হলো কবিতা ক্যাফে (২য় তলা) কাঁটাবন মোড়, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকায়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমান হাইকোর্ট ডিভিশন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ।উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লায়ন শারমিন সেলিম তুলি চেয়ারম্যান আলোকিত নারী কল্যাণ ফাউন্ডেশন। বিশেষ অতিথি এএসএম নজিবুল আকবর মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও সমাজসেবক।মোহাম্মদ আবু মুসা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক। ডা: সামিনা আরিফ সহযোগী অধ্যাপক, উপাধ্যক্ষ ফেডারেল হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। হাসিনা আনছার ওনার অফ নাহার কুকিং ওয়ার্ল্ড। সভাপতিত্ব করবেন: ড. মহ: শেখ রেজাউল ইসলাম অতিরিক্ত সচিব বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং সভাপতি সমীকরণ আদর্শ সাংস্কৃতিক সংগঠন।

অনুষ্ঠান পরিচালনায়: মোঃ মাসুদ রানা প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক বাংলার বীর ফাউন্ডেশন ও সমীকরণ আদর্শ সাংস্কৃতিক সংগঠন।

উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্যে কোহিনুর বেগম বলেন"উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প" স্কুল জীবনে আমি কিছু হাতের কাজ শিখেছিলাম যেমন টেইলারিং শিখেছিলাম দর্জি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এবং একটা এনজিও থেকে শিখেছিলাম হ্যান্ডিক্রাফট এর কাজ কাগজের ফুল কাপড়ের ফুল তৈরি করা। আমি পাবনাঈশ্বরদীর মেয়ে। অবশ্য আমার দাদা ওর নানার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া । বাবা ও চাচারা বিজনেস এর ক্ষেত্রে ঈশ্বরদীতে সেটেলহয় ।ঈশ্বরদীতে আমার বড় হওয়া। আমি যৌথ পরিবারের মেয়ে।আমার বিয়ে হয় ১৯৯২ সালে ঢাকা যাত্রাবাড়ীতে যৌথ পরিবারে। শ্বশুরবাড়িতে আমি ছিলাম সবার আদরের বউ মা।বিয়ের পরে যখন সংসারে জীবনে আবদ্ধ হয়ে গেলাম। তখন থেকে মনের মধ্যে একটা ইচ্ছে সব সময় কাজ করতো ।জীবনে কিছু একটা করতে হবে তাই থেমে না থেকে যা পারতাম সেগুলি নিয়ে কাজ করতাম প্রথমে অবশ্য হাতের কাজ করে প্রিয়জনদের কে উপহার দিতাম ।যেমন শাড়িতে হাতের কাজ করা ব্লকের শাড়ি তৈরি করা, বাটিকের শাড়ি তৈরি করা এইগুলি করে অনেক প্রিয়জনদেরকেউপহার দিয়েছি সেইসাথে দিয়েছি কাপড়ের ও কাগজের ফুল তৈরি করে অনেক প্রিয় মানুষকে উপহার দিয়েছি সেগুলি দেখে সবাই খুব খুশী হত এবং আমাকে খুব উৎসাহ দিয়েছিল উদ্যোক্তা হওয়ার। এভাবেই শুরুহল পথ চলা।২০০০ সাল থেকে আমি আমার উদ্যোক্তার কাজ শুরু করি। আমি নতুন করে আবার যুব উন্নয়ন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে রান্নার কাজ, পার্লারের কাজ এবং ব্লক, বাটিক থেকে শুরু করে যত রকম হাতের কাজ আছে সব শিখি। আমি আমার শ্বশুরবাড়িতে একটা রুমে শুরু করে দেই কাজ শেখানো ।টেইলারিং, ব্লক ,বাটিক রান্না-বান্না ও পার্লারের কাজ। এভাবেই কাজ করতে করতে যখনঅনেক স্টুডেন্ট হয়ে যায় তখন ছাত্রীদের উৎসাহে তৈরি করি একটা ব্লকের কারখানা মোটামুটি অনেক প্রচার ও প্রসার ও হয়েছিল ।বেশ সুন্দর চলছিল আমার ব্লকের ড্রেস ,শাড়ি ও বিছানার চাদর ।বাটিকের অনেক ড্রেস তৈরি করেছিলাম শাড়ি।বিশেষ করে পহেলা বৈশাখে একুশে ফেব্রুয়ারি ড্রেসগুলোরবেশি অর্ডার আসতো তারপর ছিল ১৬ডিসেম্বর এর ড্রেস পহেলা ফাল্গুনের ড্রেস বাচ্চাদের থেকে শুরু করে বড়দের।। কাজ করে নিজে কতটুকু সফল হয়েছি জানিনা ।তবে আমার কাছে কাজ শিখে যারা আজকে সফল অর্থাৎ নতুন নতুন উদ্যোক্তা হয়েছে তাদেরকে দেখে আজকে আমার কাছে মনে হয় নিজের কাছে আমি সার্থক। কারণ এমন এমন মেয়েরাও এসেছিল আমার কাছে টেইলারিং শিখতে সুইএ সুতা ভরতে পারতো না ।অথচ আজকে তারা আমার কাছেকাজ শিখে অর্ডারি কাজ করেস্বাবলম্বী হয়েছে এটাই আমার কাছে বড় পাওয়া। এ তো গেল একটা পার্ট ।আমার আর একটা পার্টছিল রান্নাবান্না শেখানো রান্নাবান্না শিখাতে শিখাতে যখন খাবার দাবারের অনেক প্রশংসা পায় তখন অনেকেই আমার কাছ থেকে খাবার নেওয়া শুরু করল সেই থেকে শুরু করলাম হোমমেড খাবার আইটেম ও ফ্রোজেন খাবার আইটেমের কাজ । যাত্রাবাড়ী স্কুলের ম্যাডামরাওআমার কাছে এসে রান্না শিখেছে।কনফেকশনারী আইটেম ,চাইনিজ আইটেম। ম্যাডামরা আমার শাশুড়িকে বলতো খালাম্মা আমরাতো হইলাম স্কুলের ম্যাডাম আর আপনার বউমা হল আমাদের ম্যাডাম। আমার শাশুরী মনে মনে খুব খুশি হত।কাজ শুরু করা বড় কথা নয়, কাজ ধরে রাখা হলবড়কথা এবংবড় কঠিন। তাই আপনারা দোয়া করবেন আমি যেন সৎ ও নিষ্ঠার সাথে একদিন সফল ও বড় উদ্যোক্তা হতে পারি।
আমি কোহিনুর বেগম কাজ করছি যাত্রাবাড়ী থেকে দেশি ড্রেস ও শাড়ি বিছানার চাদর নিয়ে এবং হোমমেড খাবার আইটেম ও ফ্রোজেনখাবার আইটেম নিয়ে। আমার দুটো পেইজ আছে। একটা হল Kohinoor's kitchen. আর একটা Rupchaya Boutiques& training centre

অনুষ্ঠানে মিডিয়া পার্টনার বীর বাংলা টিভি।
উক্ত অনুষ্ঠানে ৩০ জন নারীকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সেরা নারী পুরস্কার ‌-২০২৩ প্রদান করা হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ